সব কিছু আমাদের বিরুদ্ধে
যখন আমি তোমার চোখে তাকাই একমাত্র শব্দ যা মনে নিয়ে আসে প্রেম ।
তোমার চেহারা সৌন্দর্য, তোমার স্পর্শ, উষ্ণতা এবং তোমার কণ্ঠের মধ্যে সান্ত্বনা খুঁজে পাই ।আমার চারপাশে আবৃত আমি আশ্বাস যে আমি সুরক্ষিত করছি ।
আমার হৃদয়কে দ্রুততর করে তোলে যতটা আমি আপনার শরীরের বিরুদ্ধে যেতে চাই না।
তোমার চোখে চোখে তাকান যখন তুমি কথা বলার সাথে সাথে আমার দিকে তাকাও ।
তখন আমি যা কিছু জানতে চাই তা আমাকে তোমার চোখ বলে।
তোমার হৃদয় আমাকে প্রতিদিন জোরে জোরে বলছে, নিশ্চিত করে আমি প্রেমের কবিতা শুনতে চাই ।
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে তোমার আদো আদো মনা ডাক ।
কিংবা ঘুমানোর আগে অব্দি একান্তে কথা বলার টান ।
মাঝরাতে ঘুম ভাঙলে এখন কি করো।
মন চাইলেই আমার কাছে ছুটে আসা।
আজও আমি মনে করি, তুমি করো কিনা জানিনা।
খুশির মাঝে মাঝে কথা কাটা কাটিরা আজ কোথায়।
কিভাবে ভালোবাসা আর আদরের অভাবে থাকছো।
রাত ঘুম হয়, ঘুম পাড়ানির গল্প ছাড়া।
জানি হয়না, তাই তো দেখছি তোমার ঠোঁট, মুখ, চোখ সবকিছু আজ কর্কশ ।
আদর আর ভালোবাসার অভাবে শুকিয়ে গেছে তন মন।
চেহারায় ফুটে উঠছে আর্তনাদের কান্না।
কাঁদতে কাঁদতে চোখের নিচে কালো দাগ।
বালিশগুলি ভিজে আছে চোখাশ্রুতে।
কানে বেজে উঠে তোমার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না।
কে শান্ত করে তোমায়, জানি কেউ নাই।
চীনের বুড়ো কাকা যেমন বিশাল প্রাচীর ভেঙেছে
যুগ যুগ ধরে, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ।
আমাদের ভালোবাসার প্রাচীরে চির ধরিয়েছে
তারা ভাবেনি সেই প্রাচীরের কাঠিন্যতা, গভীরতা।
প্রাচীর হয়তো খান খান হয়ে যাবে
কিন্তু সেই তিল তিল করে জমানো ভালোবাসার গভীরতা কেউ জনলোনা।
আজ আর কেউ তোমার চোখের অশ্রু মুছতে আসেনা ।
মন/শরীর খারাপ হলে তোমার কাছে ছুটে আসেনা।
রাত দিন ছিলোনা ছুটে গিয়েছি , বুকে টেনে নিয়েছি।
তোমার দক্ষিণের দরজায় আমার পদচিহ্ন পড়েনা অনেকদিন ধরে।
তোমার সুখ দুঃখকে ভাগ করে নিয়েছি।
জানি প্রাচীর ভাঙার শরীকেরা আজ খোঁজ নেয়না।
কেনই বা নেবে, তারা তো ওই মুহূর্তেরই বিনাশকারী।
তারা জানতে চায়না, কেমন আছো, মন কেমন আছে।
তোমার আপাদমস্তক খোঁজ করার কেউ নাই।
হ্যাঁ, শরতের কথায়, দূর্বল উত্তেজনার মুহূর্তকে স্বভাব বলে প্রাচীরে চির ধরাতে পেরেছে।
তারা শুধু বহির্জগতের ছবিটাই দেখেছে।
প্রেমের অন্তরালেও যে একটা কোমল মন আছে।
সেটা তাদের কালো চশমার দরুন ধরা পড়েনি।
আমি ঘৃণা করি এই সমাজকে
যে সমাজ প্রেম ভালোবাসাকে গলা টিপে হত্যা করে।
আমি ঘৃণা করি সেই সব ব্যাখ্যাকারীদের।
যারা প্রেমের আবেগকে না বুঝে তাদের ব্যাখ্যার বলি বানিয়েছে।
এই সমাজ আমার সমাজ না, যারা সমাজে ভালোবাসার গভীরতাকে খাটো করে।
প্রেমকে পুঁজির সম্পর্কে পরিমাপ করে।
অজয় নদীর মতো শত শত মুহূর্তের সঞ্চিত ভালোবাসাকে ।
তারা গুঁড়িয়ে ফেলেছে, কিন্তু আবারো বর্ষায় নদীর বুক ভরে উঠবে ।
যৌবনের ঢালে, যৌবনের টানে,
ভালোবাসা যে কৃত্রিম নয় ।
ক । দ ।
No comments:
Post a Comment